বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগামীকাল সার্কিট হাউজ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে যথাসময়ে সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রথম এবং প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে এখানে। বাকী দুটি ঈদ জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টা এবং সকাল ১০টায়।
আজ শুক্রবার (৬জুন) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি’ র প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার এ কথা জানান।
খুলনার দ্বিতীয় বড় জামাতের আয়োজন করা হয়েছে সকাল ৭টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নগরীর ময়লাপোতা বায়তুল আমান জামে মসজিদে ঈদের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সাতটায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে।
ইকবাল নগর জামে মসজিদে সকাল সাতটায় একটিমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাতটায়।
রূপসা স্ট্যান্ড রোডস্থ বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে সাতটায় এবং রূপসা ফেরিঘাটস্থ যহরত আবু বক্কর সিদ্দিকী (রা:) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় একটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা হাফিজ নগর মসজিদে আমানাতে সকাল সাতটায় একটিমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত সরকারি বিএল কলেজ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে কলেজ মসজিদে ওই একই সময় অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনায় আহলে হাদিস সংগঠনের প্রধান ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে শহীদ হাদিস পার্কে সকাল ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে খুলনা নগরীর সিটি আহলে হাদিস জামে মসজিদে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা আহলে হাদিস জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এছাড়া খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার আহলে হাদিস জামে মসজিদ ঈদগাহে জামাত শুরু হবে সকাল ৬টায়।
খুলনা জেলা ও নগর মিলে এবার সাতশর বেশি মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সার্কিট হাউস মাঠে ঈদের নামাজের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
খুলনা গেজেট/হিমালয়